Content area
২০১৬ সালের নির্বাচনে সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশাধিকার দু'বার ব্যাহত হয়েছিল
[ Image removed: ]উগান্ডার কাম্পালায় ২০১৮ সালের জুন মাসে নারীদের মিছিলে বিক্ষোভকারীরা। কাটুম্বা বদরুর তোলা ছবি, অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত।
উগান্ডায় ইন্টারনেট এমন একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে যেখানে সরকার অনলাইনের ক্রমবর্ধমান ভিন্নমতাবলম্বী জনগোষ্ঠীকে নীরব করার চেষ্টা করছে।
বছরের পর বছর ধরে, উগান্ডার কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক মতবিরোধকে দমিয়ে রাখতে এবং ক্ষমতাসীন জাতীয় প্রতিরোধ আন্দোলন দল এবং রাষ্ট্রপতি ইওওয়ারি মুসেভেনিকে ক্ষমতায় রাখতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে।
এর মধ্যে রয়েছে গণযোগাযোগ মাধ্যম ওয়েবসাইটগুলি ব্লক, এসএমএস বা ক্ষুদেবার্তা পরিস্রাবণ এবং সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যমের মঞ্চগুলি বন্ধ করা। উগান্ডার ২০২১ সালের সাধারণ নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথে কর্তৃপক্ষও এধরনের কৌশল প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে বলে মনে হচ্ছে।
২০১৬ সালের নির্বাচনী বন্ধগুলো
২০১৬ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় উগান্ডার কর্তৃপক্ষ দু'বার পুরো সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যমের মঞ্চটি বন্ধ করে দিয়েছিল।
প্রথম বন্ধটি ঘটেছিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাক্কালে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে। এটি সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম মঞ্চ ও মোবাইল অর্থ পরিষেবাগুলিকে প্রভাবিত করেছিল। এই নিষেধাজ্ঞাটি পুরো চার দিন স্থায়ী ছিল।
২০১৬ সালের মে মাসের ১১ তারিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টুইটারসহ মোবাইল অর্থ হস্তান্তর পরিষেবাগুলি আবারো অবরুদ্ধ হয়। রাষ্ট্রপতি মুসেভেনি তার পঞ্চম মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন আগে একদিন স্থায়ী এই বন্ধটি ঘটেছিল।
মুসেভেনি ১৯৮৬ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন। তার শাসনের বিরোধিতা বাড়ছে: ২০১৯ সালের এপ্রিলে প্রকাশিত একটি জনমত জরিপ অনুসারে উগান্ডার সার্বিক সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ৭৪বছর বয়সী এই ব্যক্তিকে ২০২১ সালের নির্বাচনে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়া রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থীতার সর্বাধিক বয়সসীমা ৭৫ থেকে উন্নীত করার ২০১৭ সালের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল।
২০১৬ সালের বন্ধ দু’টির সময় উগান্ডার সরকার “জাতীয় সুরক্ষা”কে বিধিনিষেধের পিছনের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিল। উগান্ডার বিভিন্ন প্রতিরক্ষা সংস্থা এবং টেলিযোগাযোগ খাত, অনলাইন প্রকাশনা, সম্প্রচার (রেডিও ও টেলিভিশন উভয়), চলচ্চিত্র শিল্প, ডাক এবং কুরিয়ার পরিষেবাগুলি নিয়ন্ত্রণকারী উগান্ডার যোগাযোগ কমিশন (ইউসিসি) এই বিঘ্নগুলি আদেশ করেছিল।
২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী এমটিএন উগান্ডা টুইটারে একটি বিবৃতি জারি করে “নিয়ন্ত্রক ইউসিসি এমটিএনকে জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষার একটি হুমকির কারণে সমস্ত সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম এবং মোবাইল অর্থ পরিষেবাগুলি অকার্যকর করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল” বলে নিশ্চিত করেছিল। এতে এয়ারটেল, স্মাইল, ভোডাফোন এবং আফ্রিসেলের মতো অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলিও প্রভাবিত হয়েছিল।
একইদিনে রাষ্ট্রপতি মুসেভেনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অবরোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন: “এতো লোকজনকে সমস্যায় ফেলা বন্ধ করার জন্যে পদক্ষেপ নিতে হবে। কিছু লোক মিথ্যা বলার জন্যে এই পথগুলি ব্যবহার করার কারণে এই সাময়িক পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে,” তিনি কারণ দর্শিয়ে ছিলেন।
১৭ মার্চ তারিখে রাষ্ট্রপতি মুসেভেনির ২০১৬ সালের বিজয়কে চ্যালেঞ্জ জানানো সুপ্রিম কোর্টের আলোচনার সময় একটি সরকারী ঘোষণায় ইউসিসির নির্বাহী পরিচালক গডফ্রে মুতাবাজি ব্যাখ্যা করেছেন যে “তিনি নিরাপত্তা হুমকির কারণে পুলিশ মহাপরিদর্শক কালে কেইহুরার কাছ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি বন্ধ করার নির্দেশনা পেয়েছিলেন।”
এই বন্ধগুলি তথ্যে প্রবেশ, মত প্রকাশ এবং অনলাইনে প্রতিদিনের ব্যবসায়ের পরিচালনায় ইন্টারনেট এবং সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যমের মঞ্চ ব্যবহারকারী উগান্ডাবাসীদের অধিকার এবং দৈনন্দিন জীবনে হস্তক্ষেপ করেছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগের সপ্তাহগুলিতে #উগান্ডা_সিদ্ধান্ত_নিচ্ছে এবং #উগান্ডা_বিতর্ক_১৬ এর মতো হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে উগান্ডাবাসী নির্বাচন নিয়ে সক্রিয়ভাবে টুইট এবং বিতর্ক করেছিল। প্রথমবারের মতো টেলিভিশনের মাধ্যমে শুরু হওয়া রাষ্ট্রপতি বিতর্কের প্রথমটি জানুয়ারিতে এবং দ্বিতীয়টি তার এক সপ্তাহ পরে অনুষ্ঠিত হলে উগান্ডার নাগরিকরা অনলাইন নাগরিক মিথষ্ক্রিয়ায় লিপ্ত হয়েছিল।
এমনকি সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও অনেক উগান্ডাবাসী ভার্চুয়াল ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন ব্যবহার করে নির্বাচনের বিষয়ে পোস্ট চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনের দিন সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যমে নাগরিকরা বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ভোটের উপকরণ দেরীতে আসা, নির্বাচনী অপব্যবহার বিষয়ে প্রতিবেদন করতে এবং নির্বাচনের সাময়িক ফলাফলগুলো ভাগাভাগি করে নিতে সক্ষম হয়।
মানবাধিকার কর্মীরা বলেছে যে নির্বাচনের সময় তথ্যে প্রবেশ এবং নাগরিকদের মত প্রকাশ করা যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ঠিক তখনই লক্ষ্যযুক্ত এই বন্ধগুলোর মাধ্যমে যোগাযোগের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
“ইন্টারনেট বন্ধগুলো জনগণকে তাদের প্রভাবিত করা বিশেষ বিশেষ উদ্বেগগুলো যেমন স্বাস্থ্য, বন্ধুদের সাথে কথাবার্তা বলার পাশাপাশি রাজনৈতিক বিষয়ে মতামত ভাগাভাগি করা থেকে বিরত রাখে,” উগান্ডা এবং তানজানিয়ায় নীতি বিশ্লেষণ পরিচালনার স্বাধীন মঞ্চ বহুপাক্ষিক_বিষয়_কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী মুসা ওভিনি একটি সাক্ষাৎকারে গ্লোবাল ভয়েসেসকে বলেছেন।
ওভিনির মতে বন্ধগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো “রাষ্ট্র অনুভূত নাগরিকের দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্বেগ জনসাধারণকে উস্কে দিতে পারার মতো ভীতি” থেকে রাজনৈতিক ভিন্নমত বন্ধ রাখা। তিনি এই অভিযোগটিকে ভিত্তিহীন এবং বাস্তবতার পরিবর্তে অনুমান নির্ভর মনে করেন।
উগান্ডার অনলাইন মঞ্চ এবং ওয়েবসাইট অবরোধের ইতিহাস
২০১১ সালের ১৪ এপ্রিল তারিখে ইউসিসি আইএসপিগুলিকে সংযোগ স্থাপন এবং তথ্য ভাগাভাগি আটকাতে সাময়িকভাবে ২৪ ঘণ্টার জন্যে ফেসবুক এবং টুইটারে প্রবেশাধিকার অবরোধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। ক্রমবর্ধমান জ্বালানি ও খাদ্যের দাম নিয়ে বিরোধী নেতৃত্বাধীন “হেঁটে কর্মস্থলে যাওয়া” বিক্ষোভের উত্তাপে এই আদেশটি এসেছিল। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে যে সহিংসতা রোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার হ্রাস করতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এই অবরোধটির অনুরোধ করেছিল।
২০১১ সালের নির্বাচনে “মিশর,” “বুলেট” এবং “জনগণের শক্তি”সহ নির্দিষ্ট কিছু শব্দযুক্ত এসএমএস বা ক্ষুদেবার্তা পরিস্রাবণ করা হয়েছিল।
২০০৬ সালের নির্বাচনের আগে ইউসিসি আইএসপিগুলিকে “ক্ষমতাসীন জাতীয় প্রতিরোধ আন্দোলন এবং তাদের রাষ্ট্রপতির প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ ও মিথ্যা তথ্য” প্রকাশের জন্যে রেডিও কাটওয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশাধিকার অবরোধের নির্দেশনা দিয়েছিল, ২০১৫ সালের তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালার উপর ব্যাখ্যা করার সময় একথা জানিয়েছে পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্যে আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি নীতিতে সহযোগিতা (সিআইপিইএসএ)। উগান্ডার কর্তৃপক্ষ “নিজস্বভাবে সংকলিত নির্বাচনী ফলাফল” প্রকাশের কারণে রেডিও কেন্দ্রটি এবং ডেইলি মনিটরের ওয়েবসাইটে প্রবেশাধিকার আটকে দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্বাচন কমিশন সরকারী ফলাফল ঘোষণা করার অব্যবহিত পরেই গণযোগাযোগ মাধ্যম মঞ্চগুলি দ্রুত চালু করে দেওয়া হয়েছিল।
২০২১ নির্বাচন: একই কৌশল?
[ Image removed: ]রাষ্ট্রপতি মুসেভেনি, মে ২০১৩। তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন। ছবির কৃতজ্ঞতা: ফ্লিকারে বিদেশি এবং কমনওয়েলথ দপ্তর [সিসি বাই ২.০]
২০১৬ সাল থেকে কর্তৃপক্ষ বিরোধী রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দমনাভিযান পরিচালনা করে আসছে।“ববি ওয়াইন” নামে পরিচিত গায়ক এবং বিরোধী দল গণশক্তির নেতা ও সংসদ সদস্য রবার্ট কিয়াগুলানি ইতোমধ্যে তার রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। ওয়াইন বর্তমানে “রাষ্ট্রপতিকে বিরক্ত” করার জন্যে ফৌজদারি অভিযোগের সম্মূখীন এবং দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেওয়া হবে না।
মানবাধিকার পর্যবেক্ষক অনুসারে কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের ১৫ আগস্টে অরুয়ার (উত্তর উগান্ডা) উপনির্বাচনের আগে ববি ওয়াইন এবং ফ্রান্সিস জাকেসহ ছয়জন বিরোধী্দলীয় সদস্যকে লক্ষ্যে পরিণত করেছিল। ছে টার্গেট করেছে। সালের ১৩ আগস্ট তারিখে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ২০১৮ আরো ২৮ জন ব্যক্তির সাথে এই গোষ্ঠীকে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে পরে তাদেরকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
সেই একই দিনে পুলিশ ববি ওয়াইনের ড্রাইভারের দিকে সামরিক বাহিনীর মারাত্মক গোলাগুলিসহ উপনির্বাচন ও সংশ্লিষ্ট সহিংসতা কাভার করার জন্যে দু'জন সাংবাদিক, হারবার জাজিভা এবং রোনাল্ড মুওয়াঙ্গাকেও গ্রেপ্তার করেছিল।
আরও পড়ুন:
২০২১ সালের নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে উগান্ডার কর্তৃপক্ষগুলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধসহ রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনাভিযান অব্যাহত রাখার সম্ভাবনা খুব বেশি। আসলে ২০১৬ সালের নির্বাচনের পর থেকে আইনী কাঠামোর কোনও পরিবর্তন হয়নি যা সরকারকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অনলাইনে তথ্যে প্রবেশাধিকারকে সীমাবদ্ধ করার সুযোগ দেয়।
২০১৬ সালের আফ্রিকার ইন্টারনেট স্বাধীনতার প্রতিবেদন অনুসারে ২০১৩ সালের যোগাযোগ আইনটি ইউসিসিকে এর ৫ ধারার অধীনে একটি বিস্তৃত ক্ষমতা এবং কার্যাবলী দেয় যা যোগাযোগের এই নিয়ন্ত্রকটিকে “যোগাযোগের পরিষেবাগুলি নিরীক্ষণ, পরিদর্শন, লাইসেন্স প্রদান, তদারকি, নিয়ন্ত্রণ ও শাসন” এবং “মান নির্ধারণ, নিরীক্ষণ ও সম্মতিসূচক বিষয়বস্তু প্রয়োগ করার অনুমতি দেয়।” সরকারের অনুরোধে ইউসিসি আইএসপিগুলিকে ২০১৬ সালের নির্বাচনের সময় সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম এবং মোবাইল অর্থ পরিষেবাগুলিতে প্রবেশাধিকার আটকাতে আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে এই ধারাটি ব্যবহার করে।
বিশেষত নির্বাচনের সময় জনগণের বিতর্ককে নিয়ন্ত্রণ এবং রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীদের থামিয়ে দেওয়ার জন্যে সরকার এই আইনগুলিকে সশস্ত্র করে চলেছে।
ওভিনি যুক্তি দেখিয়েছেন যে রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় যে কোন সময়: “শাসকগোষ্ঠী এবং তার নাগরিকদের সুরক্ষার ঠোকাঠুকিতে যখন শাসকগোষ্ঠীর সুরক্ষা হুমকির সম্মূখীন হবে তখন শাসকগোষ্ঠীর সুরক্ষা এবং তার টিকে থাকা প্রাধান্য পাবে” এবং তখন তারা ইন্টারনেট বন্ধ করতে সক্ষম।
২০১৬ সালের মতো বন্ধগুলো আর না ঘটে, এজন্যে উগান্ডার বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা এবং মানবাধিকার সুরক্ষাকারী সংগঠনগুলি সংঘবদ্ধ হচ্ছে।
বেশ কয়েকটি সংগঠন ২০১৬ সালের নির্বাচনের সময় উগান্ডার কর্তৃপক্ষের ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকার বন্ধ করার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানানোর জন্যে আফ্রিকীয় ইউনিয়ন এবং আঞ্চলিক সংস্থাগুলিকে একটি যৌথ চিঠি লিখেছে।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দায়ের করা একটি মামলায় উগান্ডার_অবাঞ্ছিত_সাক্ষী ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারী এবং নিয়ন্ত্রকের সাথে সাথে উগান্ডা রাষ্ট্রটিকে আদালতে নিয়ে গিয়েছিল। সংস্থাটি দাবি করেছে যে রাষ্ট্র পরিকল্পিত করা ইন্টারনেট বন্ধ ১৯৯৫ সালের সংবিধানের ২৯ (১) অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত উগান্ডাবাসীদের ব্যক্তিগত বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে লঙ্ঘন করেছে। তবে বন্ধগুলোর ফলে এগুলো হয়েছিল “আবেদনকারীরা এমন কোন প্রকার লঙ্ঘন প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে” বলে একজন বিচারক রায় দিয়েছেন বলে গ্লোবাল ভয়েসেসকে জানিয়েছে “উগান্ডার অবাঞ্ছিত সাক্ষী” নামের ব্যবহারকারী।
বিশেষত আগামী নির্বাচনের সময় ইন্টারনেটে নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার অর্জনে আরো বেশি প্রচারণার প্রয়োজন।
ওভিনি ডিজিটাল অধিকার কর্মীদের ইন্টারনেট বন্ধের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বেসরকারী খাত অবদমনের নেতিবাচক প্রভাব উপস্থাপনের জন্যে সরকার এবং বেসরকারী খাতের মধ্যে আরো গভীরতর কথোপকথনের পরামর্শ দিয়েছেন।
২০০৫ সালে তথ্যে প্রবেশাধিকার আইন (এটিআইএ) নামে পরিচিত তথ্য অধিকার আইন কার্যকর করা আফ্রিকীয় দেশগুলির মধ্যে উগান্ডা প্রথম। আইনটি “জনগণকে দেশের নাগরিক হিসেবে প্রভাবিত করার জন্যে কার্যকরভাবে প্রবেশাধিকার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপযোগী করতে সক্ষম” “দক্ষতা, কার্যকারিতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা” প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সরকার কি তার তথ্যে প্রবেশাধিকারের হুকুম তামিল করবে? তারা কি তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে?
এই নিবন্ধটি আফ্রিকার সাতটি দেশ: আলজেরিয়া, ইথিওপিয়া, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, তিউনিসিয়া, উগান্ডা এবং জিম্বাবুয়েতে মূল রাজনৈতিক ঘটনাবলীর সময় নেটওয়ার্ক বন্ধ এবং বিকৃত তথ্যের মতো পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল অধিকারগুলির উপর হস্তক্ষেপ পরীক্ষা করার কতগুলি পোস্টের একটি ধারাবাহিকের অংশ। এই প্রকল্পটি পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্যে আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি নীতিতে সহযোগিতা (সিআইপিইএসএ) এর আফ্রিকীয় ডিজিটাল অধিকার তহবিলের অর্থায়নে পরিচালিত।
লিখেছেন Sandra Aceng অনুবাদ করেছেন আরিফ ইননাস · · মূল লেখাটি দেখুন [en] · টি মন্তব্য (0)
সাহায্য করুন · এই লেখাটি ছড়িয়ে দিন: facebook reddit googleplus
The views expressed in any and all content distributed by Newstex and its re-distributors (collectively, the "Newstex Authoritative Content") are solely those of the respective author(s) and not necessarily the views of Newstex or its re-distributors. Stories from such authors are provided "AS IS," with no warranties, and confer no rights. The material and information provided in Newstex Authoritative Content are for general information only and should not, in any respect, be relied on as professional advice. Newstex Authoritative Content is not "read and approved" before it is posted. Accordingly, neither Newstex nor its re-distributors make any claims, promises or guarantees about the accuracy, completeness, or adequacy of the information contained therein or linked to from such content, nor do they take responsibility for any aspect of such content. The Newstex Authoritative Content shall be construed as author-based content and commentary. Accordingly, no warranties or other guarantees are offered as to the quality of the opinions, commentary or anything else appearing in such Newstex Authoritative Content. Newstex and its re-distributors expressly reserve the right to delete stories at its and their sole discretion.
Copyright Newstex Dec 2, 2019